Breaking
14 জুলাই 2025, সোম

ভারতে দুর্দান্ত সূচনা ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’-এর, উদ্বোধনী সপ্তাহান্তে আয় ১৪ কোটি টাকা

ভারতের বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তেই চলচ্চিত্রটি ১৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে, যা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী আয়। শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজিই নয়, ২০২৫ সালের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত কোনো পারিবারিক চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী আয় এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম সর্বোচ্চ উদ্বোধনী সপ্তাহান্তের রেকর্ড গড়েছে।

অ্যানিমেশন থেকে লাইভ-অ্যাকশনে রূপান্তরিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ পোস্ট-প্যান্ডেমিক যুগে সবচেয়ে সফল প্রযোজনাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৩ জুন ভারতে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ইংরেজি, হিন্দি, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় থিয়েটারগুলোতে প্রদর্শিত হয়েছে। দর্শকদের জন্য ২ডি, ৩ডি এবং আইম্যাক্স সংস্করণে ছবিটি উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আইম্যাক্স প্রদর্শনী থেকেই এসেছে মোট আয়ের ২১ শতাংশ, যা প্রিমিয়াম ফরম্যাটগুলোর গুরুত্বকেই তুলে ধরে।

চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ডিন ডে ব্লোয়েস, যিনি এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দীর্ঘদিনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি মূল ২০১০ সালের অ্যানিমেটেড সংস্করণের প্রতি অনুগত থেকে এবার আরও গভীরভাবে আবেগঘন সম্পর্ক এবং ভাইকিংদের জগত গড়ে তুলেছেন। নতুন এই সংস্করণে হিকআপ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেসন থেমস, যিনি এক বিব্রতকর অথচ হৃদয়জয়ী কিশোর, যে এক ড্রাগনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। অ্যাস্ট্রিডের ভূমিকায় আছেন নিকো পার্কার, আর হিকআপের বাবা স্টোইক দ্য ভাস্ট চরিত্রে গেরার্ড বাটলার কণ্ঠ দিয়েছেন, যিনি এই ভূমিকায় আবারও ফিরেছেন।

এদিকে, অ্যাস্ট্রিড চরিত্রে নিকো পারকারের অভিনয় ঘিরে কিছু সমালোচনার মুখোমুখি হন পরিচালক ডিন। অনেক দর্শক আশা করেছিলেন, চরিত্রটির চেহারা হুবহু অ্যানিমেটেড সংস্করণের মতো হবে—সাদা ত্বক, স্বর্ণকেশী চুল এবং নীল চোখ। এক সাক্ষাৎকারে ডিন জানান, এই প্রতিক্রিয়া শুরুতে তাঁকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছিল। তবে তিনি আশাবাদী ছিলেন যে, দর্শকরা শেষ পর্যন্ত পারকারের পারফরম্যান্স দেখে চরিত্রটিকে মেনে নেবেন—এবং ঠিক সেটাই ঘটেছে।

এই চলচ্চিত্রের সাফল্য শুধু প্রযোজনার মানেই নয়, বরং ভারতীয় বাজারে বিশ্বমানের পারিবারিক বিনোদনের প্রতি দর্শকদের আগ্রহকেও নতুন করে তুলে ধরেছে। বিশেষ করে, একাধিক ভাষা ও ফরম্যাটে মুক্তি দিয়ে নির্মাতারা আরও বৃহত্তর দর্শকগোষ্ঠীকে টার্গেট করেছেন, যা সিনেমার বাণিজ্যিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।