Breaking
14 মার্চ 2025, শুক্র

রবার্ট প্যাটিনসনের ‘মিকি ১৭’ সিনেমার শেষ ক্রেডিট দৃশ্য আছে কি?

রবার্ট প্যাটিনসন অভিনীত নতুন সায়েন্স ফিকশন কমেডি ‘মিকি ১৭’ এখন প্রেক্ষাগৃহে। অস্কারজয়ী ‘প্যারাসাইট’ পরিচালক বং জুন-হো পরিচালিত এই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের অনেক কৌতূহল রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, সিনেমার শেষ ক্রেডিটের পরে কি কোনো অতিরিক্ত দৃশ্য রাখা হয়েছে?

সিনেমার মূল কাহিনি

‘মিকি ১৭’ একটি আর-রেটেড সিনেমা, যা ২০৫৪ সালের এক কল্পিত ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এতে প্যাটিনসন মিকি বার্নস চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি এক ব্যর্থ ব্যবসায়ী। এক ভয়ঙ্কর ঋণদাতার হাত থেকে মুক্তি পেতে তিনি মহাকাশ উপনিবেশ স্থাপনের এক প্রকল্পে যোগ দেন।

তবে মিকির বিশেষ কোনো দক্ষতা না থাকায়, তিনি দলের ‘এক্সপেন্ডেবল’ বা ত্যাজ্য সদস্য হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এই দলটি বরফে আবৃত এক নতুন গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করার চেষ্টা করছে। ‘এক্সপেন্ডেবল’ হিসেবে মিকিকে জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষায় পাঠানো হয়, যেখানে তার মৃত্যু নিশ্চিত। তবে তার মৃত্যু হলেই, তার নতুন ক্লোন তৈরি করা হয় এবং পূর্বের সমস্ত স্মৃতি সংরক্ষণ করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে, যখন মিকির ১৭তম সংস্করণ (যাকে ‘মিকি ১৭’ বলা হয়) এলিয়েনদের মুখোমুখি হওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায়, তখন তার জায়গায় ‘মিকি ১৮’ তৈরি করা হয়। কিন্তু এটি বিশাল এক সংকট সৃষ্টি করে, কারণ উপনিবেশের কঠোর নিয়ম অনুসারে একাধিক ক্লোন একসঙ্গে থাকতে পারে না। এই ‘মাল্টিপলস’ বা একাধিক ক্লোন সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ বিবেচিত হয়।

সিনেমার শেষ ক্রেডিট দৃশ্য নিয়ে কী জানা যায়?

সাধারণত, শেষ ক্রেডিটের পর যোগ করা দৃশ্য দুটি কারণে রাখা হয়—একটি হলো পূর্ববর্তী কাহিনির অসমাপ্ত অংশ পূরণ করা, অন্যটি হলো ভবিষ্যৎ সিক্যুয়েলের ইঙ্গিত দেওয়া।

‘মিকি ১৭’-এ কোনো পোস্ট-ক্রেডিট বা শেষ ক্রেডিট দৃশ্য নেই। তবে সিনেমার কাহিনির গতিপথ বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, ভবিষ্যতে এই গল্পের আরও একটি অধ্যায় তৈরি করা সম্ভব। যেহেতু উপনিবেশে চরিত্রদের ক্লোন করে নতুন সংস্করণ তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে, তাই পরিচালক চাইলে কাহিনিকে আরও সম্প্রসারিত করতে পারেন।

‘মিকি ১৭’-এর সিক্যুয়েল আসবে কি?

একটি নতুন কিস্তি নির্মাণের সম্ভাবনা নির্ভর করছে সিনেমাটির বক্স অফিস সাফল্যের ওপর। যদি এটি বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়, তবে রবার্ট প্যাটিনসনকে নিয়ে নতুন একটি সিক্যুয়েল নির্মাণের সুযোগ থাকতে পারে।

তবে প্রাথমিক বক্স অফিস পূর্বাভাস আশাব্যঞ্জক নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৮-২০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে, যেখানে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ২০-২৫ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে। মোট ৪০-৪৫ মিলিয়ন ডলার আয়ের পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও, এটি সিনেমার উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম। কারণ, ‘মিকি ১৭’-এর নির্মাণ বাজেট ছিল ১১৮ মিলিয়ন ডলার, যা বিপণন ও বিজ্ঞাপনের খরচ ছাড়া।

ফলে, সিনেমাটির সিক্যুয়েল নির্মাণ করা হবে কি না, তা মূলত এর বক্স অফিস সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে।