Breaking
14 মার্চ 2025, শুক্র

নেটফ্লিক্স শোতে মেঘানের একটি দৃশ্য নিয়ে হাস্যরস

ডাচেস মেঘান তার নতুন নেটফ্লিক্স সিরিজ “উইথ লাভ, মেঘান”-এর মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন। রান্নার রেসিপি, ঘর সাজানোর টিপস এবং নান্দনিকতার প্রতি ভালোবাসা—এসব নিয়েই তার অনুষ্ঠান। তবে এটি সবাইকে সমানভাবে আকৃষ্ট করতে পারেনি।

প্রথম পর্ব দেখার পর দর্শকরা একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক বিশেষ দৃশ্যে মেঘান এক ব্যাগ থেকে প্রিটজেল চিপস বের করে অন্য একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দেন এবং সেটিতে সুন্দর হাতে লেখা লেবেল লাগান। এটা কি সাধারণ জিনিসকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার এক অভিনব কৌশল? সমালোচকদের মতে, মেঘানের সিরিজে উপস্থাপিত পরামর্শগুলো বাস্তব জীবনে অনুসরণ করা খুবই সহজ। কোনো অভিজ্ঞ রাঁধুনি হওয়ার দরকার নেই, এমনকি রান্নার অভিজ্ঞতা না থাকলেও সমস্যা নেই।

ব্রিটিশ মিডিয়ার কড়া সমালোচনা

যুক্তরাজ্যে মেঘান সবসময় জনপ্রিয় ছিলেন না, তাই তার নতুন শো দেশটির গণমাধ্যমে ভালো প্রতিক্রিয়া পাবে না, এটা অনুমান করা যাচ্ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই, সমালোচনাগুলো ছিল বেশ কঠোর।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র “দ্য গার্ডিয়ান” সিরিজটিকে ৫-এর মধ্যে মাত্র ১ স্টার দিয়েছে। বিশ্লেষক চিত্রা রামাস্বামী লিখেছেন, “এখানে সমস্যা কাজগুলোর মধ্যে নয়, বরং এই শোয়ের মধ্যে যে হাস্যরস, আত্মবিশ্লেষণ, বা বাস্তবতাকে বোঝার কোনো ইঙ্গিত নেই, সেটাই একে একঘেয়ে ও কম আকর্ষণীয় করে তুলেছে।”

“দ্য টেলিগ্রাফ” এই সিরিজকে সরাসরি “আত্মকেন্দ্রিকতার প্রদর্শনী” বলে উল্লেখ করেছে। আর “দ্য টাইমস” লিখেছে, মেঘান তার “অতিরিক্ত বিলাসবহুল জীবনযাপনকে এমনভাবে দেখাচ্ছেন, যেন এটি সবার জন্য সহজলভ্য”

তবে সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা এসেছে “ডেইলি মেইল” থেকে। তারা একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার বেশিরভাগই নেতিবাচক। এক শিরোনামে লেখা হয়েছে, “মেঘানের নতুন শো যেন এক বাটি কনসোমে—অতিরিক্ত পরিশ্রমী কিন্তু একেবারে পাতলা। তিনি নিজেই কি এই অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন?”

সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস এবং মিম

দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও মিশ্র। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে মেঘানের সেই দৃশ্য, যেখানে তিনি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে প্রিটজেল বের করে আরেকটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখেন এবং তাতে লেবেল লাগান।

একজন এক্স (পূর্বে টুইটার) ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি খুব খুশি যে মেঘান মার্কেল নতুন নেটফ্লিক্স শো করেছেন, যেখানে আমি দেখতে পারছি কীভাবে তিনি প্রিটজেল একটি ব্যাগ থেকে আরেকটি ব্যাগে রাখছেন… একেবারে জনগণের মার্থা স্টুয়ার্ট!”

আরেকজন মজা করে লিখেছেন, “আমি কি সত্যিই দেখলাম, মেঘান তার অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য ট্রেডার জোসের পিনাট বাটার প্রিটজেল একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ঢালছেন?”

কেউ কেউ আবার শোয়ের সামগ্রিক বিষয়বস্তুর তীব্র কটাক্ষ করেছেন। “আমি খুব খুশি যে নেটফ্লিক্স মেঘান মার্কেলকে নিয়েছে এমন অসাধারণ কনটেন্ট তৈরির জন্য—যেমন প্রিটজেল এক ব্যাগ থেকে আরেক ব্যাগে স্থানান্তর করা!”—একজন দর্শক লিখেছেন।

এছাড়া, দর্শকরা মজা পাচ্ছেন এই বিষয়েও যে মেঘান প্রায় সব মিষ্টি খাবারে শুকনো ফুল ছিটিয়ে দেন, যা তিনি নিজের অনলাইন শপে বিক্রি করবেন।

কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে একটি ব্যক্তিগত মন্তব্য নিয়ে। শোতে তিনি মাইন্ডি কালিংকে বলেন, তার নতুন নাম “সাসেক্স”। রয়্যাল বিশেষজ্ঞরা এটিকে হাস্যকর বলছেন, কারণ সাসেক্স রাজকীয় উপাধি, এটি কোনো পদবী নয়। বাস্তবে, হ্যারি ও মেঘানের পদবী মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর