এক সাহসী গল্প নিয়ে পর্দায় ‘ঢড়ক ২’
আজ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘ঢড়ক ২’। এটি কোনও সাধারণ রোমান্টিক ছবি নয়, বরং এক সামাজিক বার্তা বহনকারী ছবি, যেখানে সম্পর্ক, বাধা, এবং সমাজের প্রতিক্রিয়া একসঙ্গে মিশে গেছে। ছবিটি এমন এক সময়ে মুক্তি পেল যখন দেশজুড়ে আন্তঃসম্প্রদায়িক সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা চলছে, যা এই ছবির বক্তব্যকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
ধর্মা প্রোডাকশনসের মতো জনপ্রিয় ব্যানারের অন্তর্গত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী এবং ত্রিপ্তি দিমরি। পরিচালনা করেছেন শাজিয়া ইকবাল, যিনি এর আগে ‘বেবাক’ নামের একটি সংক্ষিপ্ত ছবির মাধ্যমে সামাজিক প্রশ্ন তোলার জন্য পরিচিত।
বিনোদনের মোড়কে বাস্তব চিত্র
ছবির প্রথমভাগে দর্শক এক ধরনের কল্পনাপ্রসূত প্রেমের গল্পে ঢুকে পড়লেও, ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয় যে এই সম্পর্ককে ঘিরে সমাজে নানা বাধা ও মানসিক চাপ রয়েছে। ছবিতে কোনও বিশেষ শব্দ বা ট্যাগ ব্যবহার না করেও নির্মাতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কারা কোন প্রেক্ষাপটে রয়েছেন। ছবির চিত্রনাট্য অনেক সময় পরোক্ষভাবে বার্তা দিলেও তার প্রভাব তীব্র।
ভোপাল শহরের পটভূমিতে এক নিরব বিপ্লব
ছবির প্রেক্ষাপট মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল। যদিও সরাসরি শহরের নাম উল্লেখ করা হয়নি, ছবির শুরুতেই বড়া তালাবের কাছে রাজা ভোজের বিশাল মূর্তি দর্শককে বুঝিয়ে দেয় সেটিং কোথায়। রাজা ভোজ ঐতিহাসিকভাবে একজন যোদ্ধা এবং সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত। সেই সূত্রেই ছবির মূল বার্তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে: “লড়াই এবং আত্মসমর্পণের মধ্যে যদি কিছু বেছে নিতে হয়, তবে লড়াই করাই শ্রেয়।”
একই দিনে বড়পর্দায় দুই ভিন্ন স্বাদের ছবি
এই শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে এসেছে আরও একটি ছবি — ‘সন অফ সরদার ২’। অজয় দেবগন ফিরেছেন তাঁর পুরনো চরিত্র ‘জাসসি’ নিয়ে। এটি ২০১২ সালের ‘সন অফ সরদার’-এর সিক্যুয়েল। ছবিতে আরও রয়েছেন ম্রুনাল ঠাকুর, রবি কিশন, সঞ্জয় মিশ্র, নিরু বাজওয়া প্রমুখ। পরিচালক বিজয় কুমার অরোরা ছবিটিকে মজার ছলে এবং পাঞ্জাবি ঘরানার অ্যাকশন-কমেডি হিসেবে সাজিয়েছেন।
অন্যদিকে ‘ঢড়ক ২’ অপেক্ষাকৃত বেশি বাস্তবভিত্তিক, আবেগপ্রবণ এবং চিন্তাশীল। যদিও বক্স অফিসে এই দুই ছবি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে, তবুও প্রতিটি ছবির দর্শক আলাদা।
‘ঢড়ক ২’: পূর্বসূরির ছায়া, নতুন বার্তা
ছবিটি ২০১৮ সালের ‘ঢড়ক’-এর এক আধ্যাত্মিক উত্তরসূরি। প্রথম ‘ঢড়ক’ ছিল জনভি কাপুর এবং ঈশান খট্টরের অভিনীত একটি রিমেক, যার উৎস ছিল তামিল ছবি ‘পরিয়েরুম পেরুমাল’। তবে নতুন ‘ঢড়ক’ সেই পথ ধরে হলেও, নিজস্ব ভঙ্গিতে সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে প্রকাশ করেছে।