সাদা সালওয়ার পরে সর্ষে ক্ষেতে দৌড়ে চলেছেন সিমরন। দূর থেকে ভেসে আসছে ম্যান্ডোলিনের সুর। এই দৃশ্যই মনে করিয়ে দেয় ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’র আইকনিক মুহূর্ত। ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও শাহরুখ-কাজলের প্রেমকাহিনি এখনও দর্শকদের মনে জায়গা করে রেখেছে। কিং খানের জন্মদিনের প্রাক্কালে কলকাতার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে আবারও বড় পর্দায় ফিরে আসছে এই রোম্যান্টিক সিনেমা।
ছবির টেলিভিশন সম্প্রচার বহুবার হয়েছে, তবে বড় পর্দায় ‘ডিডিএলজে’ দেখার অভিজ্ঞতা যে একেবারে আলাদা, তা অনস্বীকার্য। কলকাতার একাধিক সিনেমা হলে এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে প্রতি টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা। তবে প্রশ্ন উঠছে, নতুন প্রজন্ম কি ২৭ বছর পুরনো এই ছবিটি দেখতে আগ্রহী?
নতুন প্রজন্মের প্রতিক্রিয়া
আধুনিক তরুণ অভিনেতারা কী ভাবছেন এই পুনঃপ্রদর্শনী নিয়ে? আনন্দবাজার অনলাইন এই বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে টলিউডের একাধিক তরুণ অভিনেতার কাছে, যাঁদের জন্মই হয়েছে এই ছবির মুক্তির পর।
অভিনেত্রী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি এখনও ‘ডিডিএলজে’ দেখিনি। বড় পর্দায় এত বড় একটি ঐতিহাসিক প্রেমের গল্প দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না। শাহরুখ-কাজল জুটির রসায়ন অসাধারণ। একবার কাজলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগও পেয়েছিলাম, তাই সিনেমাটি বড় পর্দায় দেখার আগ্রহ প্রবল।”
তবে কাজের ব্যস্ততার কারণে সিনেমাহলে গিয়ে ছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত। তাঁর মতে, “শাহরুখ খানের একটি উক্তি আমি মনে রাখি— টাকা সব কিছু নয়, কিন্তু জীবনে অনেক কিছু পেতে গেলে টাকার প্রয়োজন। বন্ধুরা যদি যায়, আমিও বড় পর্দায় ‘ডিডিএলজে’ দেখার চেষ্টা করব।”
অন্যদিকে অভিনেত্রী অনুষা বিশ্বনাথন ও রাজনন্দিনী পালও এই ছবির প্রদর্শনী নিয়ে সমান আগ্রহী। অনুষা জানিয়েছেন, “খুবই মিস করছি! বুধবার আমি কলকাতার বাইরে থাকব, তাই ছবিটি বড় পর্দায় দেখা সম্ভব নয়। তবে আমার সমবয়সীদের বলব অবশ্যই দেখে আসতে, কারণ যখন আমরা জন্মেছি, তখন সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরে গিয়েছে।”
রাজনন্দিনী আবার ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মের নতুন ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, শুনেছি যে অনেকেই টিকিট কেটেছে। যদিও আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।”
বড় পর্দায় ফিরে আসছে এক প্রজন্মের স্মৃতি
শাহরুখ খান শুধু একজন অভিনেতা নন, ভারতীয় সিনেমার এক বিশেষ অনুভূতির নাম। তাঁর সিনেমাগুলো বারবার ফিরে আসলেও, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ যেন এক আলাদা জায়গা দখল করে রেখেছে সিনেপ্রেমীদের মনে। নতুন প্রজন্মের দর্শকদের মধ্যে কতজন বড় পর্দায় ছবিটি দেখার জন্য এগিয়ে আসবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।