সালমান খানের সর্বশেষ সিনেমা ‘সিকান্দার’ ভারতে মুক্তির ৮ দিন পর অবশেষে ₹১০০ কোটির গণ্ডি পার করলো। তবে বক্স অফিসে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে এই ছবি। দর্শকদের মতে, দুর্বল চিত্রনাট্য ও সালমান খানের আগ্রহের অভাব ছিল দৃশ্যমান, যা ছবির প্রতিটি ফ্রেমেই স্পষ্ট হয়েছে।
ছবিটি প্রথম দিনে ₹২৬ কোটি আয় করে যাত্রা শুরু করে। প্রথম সোমবারে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ₹২৯ কোটিতে। এরপর মঙ্গলবার ₹১৯.৫ কোটি, বুধবার ₹৯.৭৫ কোটি এবং বৃহস্পতিবার ₹৬ কোটি আয় হয়। অর্থাৎ, প্রথম সপ্তাহের শেষে ‘সিকান্দার’-এর ভারতে মোট আয় দাঁড়ায় ₹৯০.২৫ কোটি, জানিয়েছে চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিষয়ক পোর্টাল স্যাকনিল্ক।
দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে ছবিটি শুক্রবার ₹৩.৫ কোটি, শনিবার ₹৪ কোটি এবং রবিবার প্রায় ₹৪.৫ কোটি আয় করে। এর ফলে সিনেমার মোট আয় দাঁড়িয়েছে ₹১০২.২৫ কোটিতে। রবিবার ভারজুড়ে এই ছবির প্রদর্শনীতে গড়ে ১১.৫০ শতাংশ দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া এই ছবি যদিও বড়সড় সাফল্য বয়ে আনতে পারেনি, তবুও ‘জাট’ নামের একটি নতুন অ্যাকশন ফিল্ম মুক্তির কিছুদিন আগেই ১০০ কোটির সীমা অতিক্রম করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘জাট’ ছবিতে অভিনয় করছেন সানি দেওল।
এদিকে, ‘সিকান্দার’-এর প্রত্যাশাভঙ্গের পর সালমান খানের অনুরাগীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে কাবির খান ও আলি আব্বাস জাফরের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান।
বলিউড হাঙ্গামার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই বৈঠকে সালমানের ম্যানেজার জর্ডি প্যাটেল এবং ব্যবসায়িক প্রধান বিক্রম তানওয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে এক সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, “ভক্তরা খোলাখুলি তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ‘সিকান্দার’ নিয়ে। এমনকি সাম্প্রতিক অন্যান্য ছবিগুলোতেও তারা সালমানের পারফরম্যান্স এবং বাছাই নিয়ে হতাশ। তারা এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে চলমান ট্রেন্ডগুলোও দেখিয়েছেন, যেখানে তারা বারবার পোস্ট করে সালমানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন এবং চাইছেন তিনি আরও ভালো সিনেমা বেছে নিন।”
সূত্র আরও জানায়, সালমান স্বীকার করেছেন ছবির প্রাথমিক পর্যায় থেকেই তিনি অনুভব করেছিলেন কিছু একটা ঠিকঠাক হচ্ছে না। এমন বড় বাজেটের ছবি এভাবে তৈরি হওয়া উচিত নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি ভক্তদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এখন থেকে তিনি এমন ছবি করবেন যা তার ভক্তদের খুশি করবে।
এই প্রতিক্রিয়াগুলো স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে সালমান খানের দর্শকরা এখনও তাকে ভালোবাসেন, কিন্তু তারা চান তিনি আরও মনোযোগী ও মানসম্পন্ন কাজ উপহার দিন। ‘সিকান্দার’-এর মাধ্যমে পাওয়া এই অভিজ্ঞতা হয়তো সালমানের পরবর্তী প্রকল্পগুলোকে আরও ভাবনাচিন্তা করে বেছে নেওয়ার দিকে ধাবিত করবে।